শিক্ষা মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করার প্রধান হাতিয়ার। শিক্ষাই পারে একটি জাতিকে মানসম্মত উন্নয়নের স্তরে উন্নীত করতে। ১৯৪৩ সাল থেকে চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী মানবসম্পদ তৈরিতে গৌরবোজ্জল ভূমিকা পালন করে আসছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি এঅঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব পালন করে আসছে। বৃহত্তর নোয়াখালীর শিক্ষার্থীরাই মূলতঃ এখানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় ও উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এখানে মোট ১৩টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। বিষয়গুলো হলো বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, সমাজকর্ম, ইসলামিক স্টাডিজ, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান ও গণিত। হিসাববিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে কলেজটিতে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য এখানে বিএ, বিএসএস, বিবিএস ও বিএসসি ডিগ্রি (পাস) কোর্সও চালু রয়েছে।
সিইডিপির অর্থায়নে কলেজটিতে স্থাপিত হয়েছে অত্যাধুনিক
বঙ্গবন্ধু আইসিটি ল্যাব, যা তথ্য ও
প্রযুক্তির যুগে শিক্ষার্থীদের আধুনিক পৃথিবীর সাথে পরিচিত হতে এবং যুগের সাথে তাল
মিলাতে সহযোগিতা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। প্রতিষ্ঠানটির
রয়েছে এক ঝাক মেধাবী শিক্ষক, যারা দেশের জন্য
সৎ, বুদ্ধিমান, সুশৃঙ্খল এবং
দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমার দৃষ্টিতে বেগমগঞ্জের সন্তান শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সালেহ আহমেদের নামে
প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি শিক্ষার জন্য একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। কেননা কলেজেটির রয়েছে সমৃদ্ধ অতীত। এদেশের বিখ্যাত
বহু ব্যক্তি এখানকার ছাত্র এবং শিক্ষক ছিলেন। আমার বিশ্বাস একদিন এই কলেজটি শুধু এই এলাকার নয়, এদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।